শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:৪১ পূর্বাহ্ন
সাহাব উদ্দীন,বিশেষ প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মামুন হত্যার ঘটনায় আরো দু জন কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো : ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের কাইচাপুর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের পুত্র মোঃ আরছ আলী ওরফে আরব আলী (৪৬) ও তার ছোট ভাই আজমীর (২৬)।
গ্রেফতারকৃতদের কে রোববার দুপুরে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হলে আদালত আরছ আলী ওরফে আরব আলী কে তিন দিনের এবং আজমির কে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
এর আগে শনিবার বিকেল তিনটার দিকে ফতুল্লা থানার লালখা শীতলক্ষা মাঠ থেকে আজমীর কে গ্রেফতার করা হয়। পরে শনিনার দিবাগত রাত একটার দিকে গাজিপুর থেকে আরছ আলী ওরফে আরব আলীকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত দুজনের মধ্যে আরছ আলী ওরফে আরব আলী আওয়ামীলীগ ক্যাডার আক্তার -সুমনের বাড়ীর কেয়ারটেকার।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃতরা দুজন আপন ভাই।হত্যাকান্ডের পর হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রটি নিরাপদে সরিয়ে রাখার দ্বায়িত্ব পালন করে এ দুজন। হত্যাকান্ডের পরপরই কেয়ারটেকার আরছ আলী ওরফে আরব আলী আত্নগোপনে চলে যায়।
হত্যার পরপর হত্যাকারীরা আক্তার-সুমনের বাড়ীতে প্রবেশ করে পূর্ব পরিকল্পনানুযায়ী অস্ত্রটি নিরাপদে সরিয়ে রাখার জন্য আরছ আলীর নিকট দেয়। আরছ আলী তা নিয়ে আক্তার-সুমনের বাড়ীর পেছনের গেইট দিয়ে বের হয়ে তা শীতলক্ষামাঠস্থ নিজ ভাড়া বাসায় রেখে আত্মগোপনে চলে যায়। পরে ফোন করে ছোট ভাই গ্রেফতারকৃত আজমীর কে তা অনত্র অপর একজনের নিকট দিয়ে আসতে বলে।
তিনি আরো জানান,প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা এ সকল কিছু স্বীকার করা ছাড়া ও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করেছে।
উল্লেখ্য যে, ৮ ফেব্রুয়ারী ভোর ৫ টার দিকে ফতুল্লা পূর্ব লালপুর রেললাইনস্থ নিজ বাড়ী থেকে থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মামুনকে ডেকে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে দূবৃত্তরা। এর একদিন পর নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে আওয়ামীলীগ ক্যাডার আক্তার-সুমন সহ ১১ জনের নাম এবং অজ্ঞাতনামা আরো ৮-১০ জন কে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ সিসিফুটেজ ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আরিফুল ইসলাম আরিফ নামের এক যুবক কে গ্রেফতার করে। সে ইতিমধ্যেই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।